Favorite Post

Ideas

1. Concept Of Program :

কোন সমস্যা সমাধানের জন্য কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে কতোগুলো কমান্ড বা নির্দেশের সমষ্টি কে প্রোগ্রাম বলা হয়। প্রোগ্রাম লেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ভাষা ব্যাবহ্রিত হয়। প্রোগ্রামে লিখিত নির্দেশ সমুহ সোর্স প্রোগ্রাম ফাইলে সারিবিদ্ধ ভাবে লেখা হয়। কম্পউটারে নির্দেষসমুকে পর্যায়ক্রমিক ভাবে পালনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করে। প্রোগ্রামের নির্দেশসমুহ সোর্স কোড নামে পরিচিত। ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা লেডি আডা অগাস্টাকে কম্পউটার প্রোগ্রামিং ধারনার প্রবর্তক মনে করা হয়। 

2. Programming Language : 

কম্পউটার সিস্টেমে প্রোগ্রাম রচনার জন্য ব্যবহৃত শব্দ, বর্ণ, অংক, সংকেত এবং এগুলোর বিন্যাসের নিয়মগুলোকে একত্রে বলা হয় প্রোগ্রামিং ভাষা বা প্রোগ্রামিং লেংগুয়েজ। বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম রচনার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ভাষা ব্যবহৃত হয়। প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে জটিল সমস্যা অল্প সময়ে বা সহজে সমাধান করা যায়। প্রোগ্রাম রচনার জন্য উপযুক্ত প্রোগ্রামিং লেংগুয়েজ প্রয়োজন হয়। প্রতিটি প্রোগ্রামিং ভাষারই বিশেষ কিছু সিনটেক্ট রয়েছে এবং সিনটেক্ট অনুসারে ঐ ভাষায় প্রোগ্রাম লিখতে হয়। 
Technology

3. Various Types Of Programming Language :

১৯৪৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কয়েকশ প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা ভাষা আবিষ্কৃত হয়েছে। এ সকল ভাষাকে বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ৫ টি স্তর বা প্রজন্মে ভাগ করা যায়। যথাঃ 

১। প্রথম প্রজন্ম (১৯৪৫) ঃ মেশিন ভাষা।
২। দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫০) ঃ আসেম্বলী ভাষা।
৩। তৃতীয় প্রজন্ম  (১৯৬০) ঃ উচ্চতর ভাষা।
৪। চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭০) ঃ অতি উচ্চতর ভাষা।
৫। পঞ্চম প্রজন্ম (১৯৮০) ঃ স্বাভাবিক বা ন্যাচারেল ভাষা। 

প্রধানত দু'ভাগে ভাগ করা হয় ঃ 

১। নিম্ন স্তরের ভাষা ( Low Level Language )  ।
২। উচ্চস্তরের ভাষা ( High Level Language )।

What Is Low Level Language : 

কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে এরুপ ভাষাকে নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয় । নিম্ন স্তরের ভাষা আবার দু প্রকার। যথা ঃ 

১। মেশিন ভাষা ।
২। আস্যম্বলি ভাষা। 
Technology

4. What Is Machine Language : 

কম্পউটার মেশিনের নিজস্ব ভাষাকে মেশিন ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয়। সাধারনত মেশিন ভাষা 0 ও 1 এ দুই বাইনারি অংক দিয়ে লিখতে হয়, তবে হেক্স পদ্ধতি ব্যাবহার করেও লেখা হয়। বিদ্যুতের হাই ভোল্টেজ কে বিট 1 এবং ল ভল্টেজ কে বিট 0 দিয়ে নির্দেশ করে কম্পউটারে প্রোগ্রাম লেখার পদ্ধতি কে মেশিনের ভাষায় প্রোগ্রাম বলা হয়। কম্পউটার এক মাত্র যন্ত্রভাষাই বুঝতে পারে, অন্যভাষায় প্রোগ্রাম করলে কম্পউটার আগে উপযুক্ত অনুবাধকের সাহায্যে তাকে যন্ত্র ভাষায় পরিণত করে নেয়। মেশিনের ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কে অবজেক্ট প্রোগ্রামও বলা হয়। এ ভাষা ব্যাবহার করে কম্পউটারে বর্তনির ভুল্গুলো সংশোধন করা যায়। এ ভাষা অনুশীলনের মাধ্যমে কম্পউটারের অভ্যন্তরীণ সংগঠন সর্ম্পকে ধারনা অর্জন করা সম্ভব। মেশিন ভাষায় বিট, বাইট ও মেমোরি এড্রেস ব্যাবহার করা হয়। যন্ত্রভাষায় যেসব নির্দেশ দেয়া হয় তাদের চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ 

১। গাণিতিক অর্থাৎ যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ।
২। নিয়ন্ত্রন অর্থাৎ লোড, স্টোর ও জাম্প।
৩। ইনপুত-আউটপুট অর্থাৎ পড় ও লেখ।
৪। প্রত্যক্ষ ব্যাবহার অর্থাৎ শুরু বা আরম্ভ, থামা ও শেষ। 


মেশিন ভাষার নির্দেশে দুটি অংশ থাকে। যথাঃ 

১। অপকোড ( Operation Code or OPCode ):  অপকোড কম্পউটার কে কী ধরনের অপারেশন হবে তা বলে দেয়। 
২। অপারেন্ড ( Operand ) : অপারেন্ড কম্পউটার কে কী অপারেশন হবে তা নির্দেশ করে। 

মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার সুবিধাঃ 

১। কম্পউটারের অভ্যন্তরীণ সার্কিট বা মেমোরি এডরেসের সাথে সরাসরি সংযোগ করা সম্ভব হয়।
২। এ ভাষা ব্যাবহার করে কম্পউটারে বর্তনির ভুল্গুলো সংশোধন করা যায়।
৩। এ ভাষা অনুশীলনের মাধ্যমে কম্পউটারের অভ্যন্তরীন সংগঠন সর্ম্পকে জানা যায়। 
৪। প্রোগ্রাম দ্রুত কার্যকরি হয়।
৫। কম পরিমাণ লজিক ব্যাবহার করে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা যায়।
৬। কম পরিমাণ মেমোরি ব্যাবহার করে প্রোগ্রাম নির্বাহ করা যায়। 
৭। এই ভাষা রচিত প্রোগ্রাম কম্পউটার সরাসরি বুঝতে পারে তাই কোন অনুবাধকের প্রয়োজন হয় না। 
Technology


মেশিন ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার অসুবিধাঃ

১। প্রোগ্রাম রচনা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ।
২। এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মেশিনে ব্যাবহার করা যায় না।
৩। প্রোগ্রাম রচনার জন্য কম্পউটারের সংগঠন সর্ম্পকে ধারনা থাকা অপরিহার্য। 
৪। ডিবাগ করা কষ্টকর।
৫। দক্ষ প্রোগ্রামারের প্রয়োজন হয়। 

5. What Is Assembly Language : 

এস্যাম্বলি ভাষা হচ্ছে মেশিন ভাষার পরবর্তী প্রোগ্রামিং ভাষা। এ ভাষা বিভিন্ন সংকেত সহযোগে গঠিত। তাই একে সাংকেতিক ভাষা বলা হয়। এসেম্বলী ভাষায় সাংকেতিক কোডে নির্দেশ দেয়া হয়। এসেম্বলী ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কে মেশিনের ভাষায় রুপান্তরিত করার জন্য এসেম্বলার নামক এক ধরনের ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক প্রোগ্রাম ব্যাবহার করা হয়। এসেম্বলীর ভাষার প্রচলন শুরু হয় ১৯৫০ সাল থেকে, দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পউটারে এ ভাষা ব্যাপক ভাবে প্রচলিত ছিলো। সাংকেতিক ভাষার ক্ষেত্রে নির্দেশ ও তত্ত্যের ঠিকানা বাইনারি বা হেক্স সংখ্যার সাহায্য না দিয়ে সংকেতের সাহায্য দেয়া হয়। এ সংকেত কে বলে সাংকেতিক কোড বা নেমোনিক কোড অর্থাৎ যে সংকেতের সাহায্যে কোনো বড় সংখ্যা বা কথাকে মনে রাখতে সুবিধা হয়। যেমন ঃ সংজয় কে রাখ, এর নেমোনিক LDA। এ ভাষায় রচিত প্রোগ্রাম দক্ষ ও সংক্ষিপ্ত হয় এবং রচনায় ভুলের পরিমাণ কম হয়। 

এসেম্বলীর ভাষার নির্দেশে চারটি ভাষা থাকে ঃ যথা- 

১। লেভেল ফিল্ড।
২। অপকোড।
৩। অপারেন্ড।
৪। কমেন্ট।

এসেম্বলী ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার সুবিধাঃ 

১। এ ভাষায় রচিত প্রোগ্রাম দক্ষ ও রচিত হয়।
২। মেমোরি এড্রেসের বিবরনের প্রয়োজন হয় না। 
৩। প্রোগ্রাম রচনায় ভুলের পরিমান কম হয়। 
৪। মেশিনের অভ্যন্তরীন গঠন সর্ম্পকে জানা যায়।
৫। ডিবাগিং করা সহজ। 

এসেম্বলী ভাষায় প্রোগ্রাম রচনার অসুবিধাঃ 

১। প্রোগ্রাম রচনা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ।
২। এক ধরনের মেশিনের জন্য লিখিত প্রোগ্রাম অন্য ধরনের মেশিনে ব্যাবহার করা যায় না।
৩। প্রোগ্রাম রচনার জন্য কম্পউটারের সংগঠন সম্বন্ধে ধারনা থাকা অপরিহার্য। 
৪। প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য অনুবাদক প্রোগ্রাম এসেম্বলারের প্রয়োজন হয়।
৫। এই ভাষা সরাসরি মেশিন বুজতে পারে না। 

Technology

এইসবগুলো বেসিক ধারনা দেয়ার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রোগ্রামিং করতে গেলে এইসব বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা থাকতে হবে। কারন প্রোগ্রামিং হচ্ছে অনেক বড় একটা সেক্টর। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখে থাকি তা একজন প্রোগ্রামারের সাহায্যে বানানো হয়। আমরা জানি, যে বর্তমানে কোন কোডিং ছাড়াই বা প্রোগ্রামিং দক্ষতা ছাড়াই একটি Content System Management ( CMS ) এর সাহায্যে দ্রুত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আর তা হলো Wordpress। কিন্তু এই ওর্য়াডপ্রেসটি  একজন প্রোগামার এর সাহায্যে বানানো হয়েছে। বিভিন্ন কাজের প্লার্টফর্মে ক্লায়েন্ট এর বিভিন্ন প্রজেক্ট থাকে প্রোগ্রামিং করার জন্য। তাই ভালো মানের প্রোগ্রামিং শিখে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কাজ করে হোক আপনার ওয়েবসাইট বা ক্লায়েন্ট এর ওয়েবসাইট এবং প্রোগ্রামিং দিয়েই আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। 


No comments:

Post a Comment

| Designed by Colorlib