Favorite Post

Ideas

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনাকে ৩ টি টপিক জানা থাকতে হবে ঃ 

১। নিস কীঃ 

নিস কে সহজ ভাষায় বলা হয় 'ইন্ডাস্ট্রি'। মার্কেটে গেলে যেমন দেখা যায় মার্কেটের দোকান, খাওয়ার দোকান, জিম, বিউটি পার্লার ইত্যাদি। আপনি জানেন ইন্টারনেটও রয়েছে ফুড এর ওয়েবসাইট, ড্রেস এর ওয়েবসাইট, বিভিন্ন বিউটি প্রডাক্ট ইত্যাদি। এখন খাওয়ার হচ্ছে, যেমন ' ফুড ইন্ডাস্ট্রি' এর মধ্যে, একইরকম ' ফুড এর ওয়েবসাইট' এর হচ্ছে ' ফুড নিস ' নিস এ। অফলাইনে ইন্ডাস্ট্রি আর অনলাইনে র ভাষায় নিস। নিস কে ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও প্রডাক্ট এর ক্যাটাগরিও বলা চলে। যেমনঃ 'Career & Jobs'  এই ক্যাটাগরিতে পরবে যত রকম জবস ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক ওয়েবসাইট, প্রডাক্ট, সার্ভিস। আপনি যদি কোন ক্যরিয়ার রিলেটেড প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চান, উদ্বাহরন স্বরুপ বলা যায় Fiveer এ যদি প্রমোট করেন তাহলে আপনার ক্যাটাগরি হচ্ছে ' Career & Jobs'। উল্লেখ্য অনেকে হয়ত ভাববেন,  Fiveer হবে Freelancing Category / Niche এ। হা এটাই সত্য, Fiveer আসলেই Freelancing / Outsourcing নিস এ, কিন্তু একই সাথে আবার Career & Jobs এও। একটু পেচানো মনে হচ্ছে ? হওয়াটাই স্বাভাবিক। নিস এর মধ্যে একটি জিনিস আছে সেটা হচ্ছে সাব নিস। এখানে Fiveer যদি প্রডাক্ট হয় তাহলে এটির নিস হবে Career & Jobs > Freelancing / Outsourcing। অর্থাৎ প্রধান নিস হচ্ছে Career & Jobs, আর সাবনিস হচ্ছে Freelancing / Outsourcing। আরো কিছু উদাহরন দেয়া যায় যেমনঃ Food & Cooking > Recipes অথবা Sports > Football > Shoes। আপনি একটি প্রধান নিস এর ভিতরে যাবেন ( সাব নিস ) আপনার জন্য তত সহজ হবে কাজ শুরু করা। 

Affiliate Marketing


২। কিভাবে ও কোথায় আপনার পছন্দের নিস থেকে ভালো মানের কমিশন ভিত্তিক প্রডাক্ট পাবেন প্রমোশন এর জন্য ? 

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দমতো প্রডাক্ট পাবেন আপনার পছন্দের নিস এ। আপনি একটু গুগল এ সার্চ করলেই অন্তত ৫০ টি ভালো মানের এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস পাবেন। তবে শুরু করার জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ClickBank.com। এছাড়া শুরু করতে পারেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে যেমনঃ Daraz.com। বাংলাদেশ ছাড়াও আপনি আরেকটি ওয়েবসাইট থেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন তা হলো Amazon.com। বর্তমানে Amazon.com এফিলিয়েট এর জন্য শির্ষ তালিকায় রয়েছে। আর পৃথিবীর সব জায়গাতেই  Amazon প্রডাক্ট রয়েছে। মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট ওপেন করা, কাজ শুরু করা কোন ব্যাপারি না। YouTube এ খুজলে অনেক ভিডিও পাবেন। 

৩। কিভাবে প্রডাক্ট টি অনলাইনে মার্কেটিং করে কমিশন আয় করবেনঃ 

এই ছোট্র প্রশ্নটির উত্তর আমি আজ ৫ বছর ধরে শিখছি, এখনো মনে হয় কিছুই শিখতে পারি নি। আমি আপনাদের খুব সহজ ভাষায় বলবো আর কিছু আইডিয়া দিবো যেন আপনি গুগল ও ইউটিউব থেকে নিজ গুনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। পণ্য টি আপনি দুইভাবে মার্কেট করতে পারেন। এক হচ্ছে ডিরেক্ট মার্কেটিং, অর্থাৎ সরাসরি কাস্টমারদের প্রডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দিয়ে। আর দ্বিতীয় হচ্ছে একটি ফানেল করে কাস্টমারদের কন্টাক্ট ইনফো নিয়ে, ওদের প্রডাক্ট এর গুনাগুন সর্ম্পকে জানিয়ে এরপর প্রডাক্ট এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে। ২ টি মেথড ই আমি একটু পরে আলোচনা করবো, তবে যে মেথডেই কাজ করেন আপনার তিনটি জিনিস জানা লাগবে তা হলো ১। কাস্টমার চেনা ( Traffic Targeting), ২। তাদের প্রডাক্ট পেইজ এ নিয়ে আসা ( Drive Traffic), ৩। Conversion Technic। 

আর বলা বাহুল্য বেশিরভাগ সফল মার্কেটার সেলস  ফালেনের মাধ্যমে মার্কেটিং এ কাজ করে। আর আমি চাই আপনিও সেলস ফানেলে কাজ করেন। তবে এর জন্য আপনাকে জানতে হবে সেলস ফানেল কী আর কিভাবে তৈরি করবেন, সেটা একটু পরেই আমরা আলোচনা করবো।
Affiliate Marketing


How To Start Affiliate Marketing ? 

আপনি যদি ডিরেক্ট মার্কেটিং করতে চান, যেটা শর্টকাট অথবা যদি এমন ভাবেন আগে একটু চেষ্টা করে দেখি যদি কিছু নগদ নারায়ন আসে তাহলে ভালো ভাবে শুরু করবো, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন ব্লার খুব একটা কিছু নাই। একটি প্রডাক্ট সিলেক্ট করেন, আর এরপর ট্রাফিক সিলেক্ট করেন সেই প্রডাক্ট পেইজ এ। আর যদি সত্যিকার মার্কেটার এর মত কাজ করতে চান, ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেলস ফানেল করে কাজ করেন। কিভাবে এবং কোথা থেকে এফিলিয়েট এ কাজ করবেন এর জন্য আমি স্টেপ বাই স্টেপ নোট করে দিচ্ছি। 


১। প্রস্তুতিঃ 

যদি সফল হতে চান তাহলে নিজের সাথে কমিটমেন্ট করুন 'যে কোন মূল্যেই সফল হবোই '। সাধারন মানুষের চাইতে কমিটেড মানুষের সাফল্য অনেকগুন বেশি। আর এই কমিটমেন্ট টি করতে একদম মন থেকে, আপনাকে বলবেন যে যেকোন মূল্যেই আমি সফল হবোই। কমিটমেন্ট করার পর একটি প্লান করবেন কবে থেকে কাজ শুরু করবেন, কত টাকা আপনার ইনভেসমেন্ট, দিনে কত ঘন্টা কাজ করবেন, কত ঘন্টা কাজ শিখার জন্য দিবেন, কি কি ওয়েবসাইট ফলো করবেন ইত্যাদি। কাজ সর্ম্পকিত সকল কিছু প্লান এর মধ্য দিয়ে নিয়ে আসবেন, মনে মনে রাখলে পরে ভুলে যাবেন, তাই সব কিছুই প্লান আকারে নোট করে নিবেন। 


২। নিস সিলেকশনঃ 

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নিস সিলেকশন। আপনি যদি আপনার জন্য পারফেক্ট নিস সিলেক্ট করতে না পারেন, তাহলে সফলতার হার কাজ শুরু করার আগেই কমে যাবে ! আমরা অনেকেই নিস সিলেকশন এর জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেই Keyword Research, Market Analysis ইত্যাদি জটিল সব বিষয় কে আর সহজ একটি জিনিস ভুলে যাই ' আমার কি ভালো লাগে ' । যে কোন কজে সফল হওয়ার জন্য প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়, আর যদি আপনার টপিক টি আপনার পছন্দের না হয় তাহলে এর উপর প্রচুর পড়াশোনা করা প্রায় অসম্ভব। নিস সিলেকশন এর জন্য আমার বেক্তিগত মতামত হচ্ছে Market Research, Competition, Keyword ইত্যাদি বিষয়ের চাইতে বেশি গুরুত্ব দেয়া লাগবে আপনার কি ভালো লাগে, আপনে কি পারেন, আপনার দক্ষতা কোথায় তার উপর। উদাহরন আপনি হয়ত একজন ওয়েব ডিজাইনার, আপনার নেশা, পেশা ভালোবাশা সব কোডিং আর ডিজাইনিং ঘিরে কিন্তু সাইড ইনকাম এর আশায় এফিলিয়েট এ কাজ করার চেষ্টা করছেন। আপনার উচিত আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ভালো লাগে এমন নিস সিলেক্ট করতে উদাহরন আপনি ওয়েব ডিজাইনার হলে আপনার জন্য ভালো হবে থিম / প্লাগিন এর এফিলিয়েট করলে। সুতরাং আপনার পছন্দ মত একটি নিস সিলেক্ট করে ফেলেন, যদি হেল্প লাগে তাহলে এ ব্যাপারে  কমেন্ট এ জানাতে পারেন আপনার কি ভালো লাগে, কি কাজ করেন আপনি আমি সাজেশন দিয়ে দিবো। 

৩ নিস অথরিটিঃ 

সবাই ক্লিক পায় আর কিছু মানুষ সেল পায় এর কারন টা এইটা আমরা বেশির ভাগিই যে কোন একটা নিস সিলেক্ট করে ' ক্লিক আনার' যুদ্ধে নেমে পরি। আপনার মার্কেট থেকে সেল নিতে হলে ওই মার্কেটে আপনার অথরিটি থাকা লাগবে, আপনার ওই নিস সর্ম্পকে দক্ষতা লাগবে, আর এই দক্ষতাই আপনাকে হেল্প করবে ভালো মানের কন্টেন্ট বানাতে, এড লিখতে, ল্যান্ডিং পেইজ বানাতে, ফলোয়াপ করতে। নিস সিলেক্ট করার পর অন্তত ১৪ দিন সময় দিন নিস অথরিটি পাওয়ার জন্য। কিভাবে পাবেন বলছি যদি আপনার নিস হয় Weight Loss তাহলে আপনি প্রথমেই খুজে বের করবেন এর উপর ভালো মানের ৫-৬ টা ব্লগ, ভালো মানের আরর্টিকেল গুলো সব প্রিন্ট করে ফেলবেন এর পর পরীক্ষার সময় যেভাবে পড়ে নোট নিতেন ঠিক সেভাবেই সর্ম্পূণ সেলস ভিডিও দেখবেন, রিভিও পড়বেন, ব্লগ /  ভিডিও তে কমেন্ট গুলো পড়বেন। সব মিলিয়ে আপনার ভালো ধারনা হবে, মার্কেটে কি রকম প্রডাক্ট আছে, মানুষ কি রকম প্রডাক্ট চায়, তাদের কি সমস্যা, আর কোন প্রডাক্ট এর কোন গুনাবলি সেই সমস্যা সমাধানে কাজে দিবে। এছাড়াও আপনি যখন আপনার নিস সর্ম্পকে জানবেন আপনার নিজের মধ্যে ভালো কনফিডেন্স কাজ করবে, প্রত্যেকটি কাজ সাবলিল ভাবে করতে পারবেন। অন্তত ২ সপ্তাহ ভালো ভাবে নিস সর্ম্পকে পড়াশোনা করার পর আপনি এর পরের ধাপে কাজ করবেন। আর কাজ শুরু করার পর প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিবেন নিস এ কিছু শিখার জন্য। ভালো হয় যখনই ভালো কোন আর্টিকেল দেখবেন সাথে সাথে প্রিন্ট করে রাখবেন, আর প্রতিদিন ৩০ মিনিট ধরে পড়বেন। আপনি আমার এই কথাটি সিরিয়াস নেন আর না নেন, কিন্তু এটাই সত্য আপনি যদি আপনার নিস সর্ম্পকে নতুন নতুন জিনিস না শিখেন তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। আর আপনি যদি আপনার নিস সর্ম্পকে নতুন নতুন জিনিস না শিখেন তাহলে আপনার আয় বাড়বে না। আর একটা কাজ করবেন যখন ভালো আর্টিকেল দেখবেন, ভালো কোন এড দেখবেন যা যা ভালো লাগবে আপনি নোট করে রাখবেন পরে আপনার কাজে লাগবে। একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন আপনি যত কম কম্পিটিশন এর নিস বের করেন না কেন আপনি যদি না জানেন সেখানে ভালো করার সুযোগ নেই, আর আপনি যেই নিস ভালো জানেন সেখানে যতই কম্পিটিশন থাক আপনার ভালো করার সুযোগ আছে। 


৪। মার্কেট সিলেকশনঃ 

নিস সিলেক্ট করার পর সিলেক্ট করবেন মার্কেটপ্লেস। একসাথে অনেকগুলো মার্কেটে কাজ করার চাইতে যে কোন একটায় কাজ করা ভালো। এতে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেন। অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে তবে শুরু করার জন্য ভালো হবে Amazon, Daraz, ClickBank, TwistDigital ইত্যাদি। যেই মার্কেটে কাজ করবেন সেই মার্কেটপ্লেস এর অফিসিয়াল YouTube Channel অনেক টিপস পাবেন। গুগলে দেখে নিলে অনেক উপকার পাবেন। 

৫। প্রডাক্ট সিলেকশনঃ 

মার্কেটপ্লেস ঠিক করার পর আপনি মার্কেটের প্রডাক্ট ক্যাটাগরি থেকে আপনার পছন্দের নিস এর ক্যাটাগরি থেকে আপনার পছন্দের নিস এর ক্যাটাগরি তে ডুকে প্রডাক্ট গুলো কাস্টমার হিসেবে দেখেন। আপনি যদি নিস অথরিটি এর জন্য ২ সপ্তাহ দিয়ে থাকেন, তাহলে ১০.১৫ টা প্রডাক্ট চেক করলে ১ টি ভালো প্রডাক্ট খুজে বের করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার না। ভালো প্রডাক্ট গুলো কখনো সার্চ ভলিউম এর উপর নির্ভর করে না। ভালো প্রডাক্টে Cleat Benefit থাকে, ভালো মানের সেইলস পেইজ থাকে, ভালো সার্পোট থাকে, এবং একই সাথে ভালো রিভিও থাকে। 

Affiliate Marketing

৬। সেলস ফানেলঃ 

প্রথমেই বলি সেলস ফানেল কি? সেলস ফানেল মুলত একটি ফানেল যার মাধ্যমে ট্রাফিক কে ঘুরিয়ে আনলে সেলস এর প্রবাবিলিটি বাড়ে। উদ্বাহরন স্বরুপ বলা যায়, কাস্টমার একটি হোস্টিং কিনবে, আপনি যদি তাকে সরাসরি হোস্টিং এর সেলস পেইজ এ পাঠিয়ে দেন তাহলে সেটি ডিরেক্ট মার্কেটিং হচ্ছে, আর আপনি যদি একটি পেইজ বানান যেখানে আপনি ওই হোস্টিং এর বেনিফিট গুলো তুলে ধরেছেন, হয়তো কিছু ভিডিও করে দিয়েছেন কিভাবে ওই হোস্টিং টি ব্যাভার করতে হয় সেই ভিডিও দেখলে আরো ভালোভাবে জানলে কিন্তু তখন পটেনশিয়াল কাস্টমারের কেনার উৎসাহ বেড়ে যাবে। এই যে আপনার একটি পেইজ অথবা ভিডিও অথবা আর্টিকেল যাই হোক কাস্টমারকে সেইলস পেইজ এ পাঠানোর আগেই কেনার উৎসাহী করে তুলবে এটাই মুলত সেলস ফানেল। ভালো মানের একটি সেলস ফানেল তৈরি করতে ৫ থেকে ১০ দিন লাগাটা স্বাভাবিক আর ১০০৳ থেকে ৫০০৳ খরচ হওয়া টা স্বাভাবিক। আপনার যত ভালো সেলস ফানেল তত বেশি ইনভেস্টমেন্ট এ উপর রির্টান পাবেন। তবে অল্পতেও শুরু করা যায় যেমন: Fiverr.com থেকে মাত্র ১০৳ দিয়ে আপনি চাইলে একটি Squuueze Page বানিয়ে নিতে পারবেন। সেলস ফানেল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভালো কাজ করে ভিডিও ল্যান্ডিং, এরপর হচ্ছে মাইক্র ব্লগ, এরপর নরমাল ল্যান্ডিং পেইজ। আর ভালো হয় আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট / ব্লগ সাইট করতে পারেন আর আপনার ব্লগ এর আর্টিকেল এর সাথে ভিডিও ল্যান্ডিং পেইজ লিঙ্ক করেন। ভালো একটি প্রডাক্ট সেল করার পর আপনার একটি সেলস ফানেল তৈরি করা লাগবে। 

No comments:

Post a Comment

| Designed by Colorlib